বোধনের আগেই বিসর্জন ! শিল্পী মহলে তুমুল ক্ষোভ মুখ‍্যমন্ত্রীর ঘোষনায়

25th September 2020 12:14 pm বর্ধমান
বোধনের আগেই বিসর্জন ! শিল্পী মহলে তুমুল ক্ষোভ মুখ‍্যমন্ত্রীর ঘোষনায়


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ‍্যমন্ত্রীর ঘোষনার পরে গোটা রাজ‍্য জুড়ে শিল্পী মহলে ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে । গতকাল থেকেই সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন শিল্পী কলাকুশলীরা ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন । ইতিমধ‍্যেই কলকাতার নন্দন চত্ত্বরে প্রতিবাদ জমায়েত এর ডাক দিয়েছেন কোনো কোনো শিল্পী মহল । দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু নির্দেশিকা ঘোষনা করেছেন মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় । যেখানে প্রায় ৩৭ হাজারের ও বেশী পুজো আয়োজকদের ৫০ হাজার টাকা করে সরকারী সাহায‍্য দেওয়া হবে । এছাড়াও কোনো অনুমতি নিতে গেলে ফি জমা দিতে হবে না । বিদ‍্যুৎ বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় । এছাড়াও পুজো মন্ডপে ঠাকুর দর্শনে রয়েছে গাইডলাইন । বন্ধ শুধুমাত্র পুজোর দিন গুলোতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । ভীড় ঠেকানোর জন‍্য এই পদক্ষেপ ! এই ঘোষনার পরেই গোটা রাজ‍্যের শিল্পী মহলে হতাশার ছাপ । যারা পুজোর সময় দু একটা অনুষ্ঠানের আশায় সাত মাস ধরে দিন গুনছিলেন তারা কার্যত মাথায় হাত দিয়েছেন । যেখানে মুখ‍্যমন্ত্রীর নিজের দল সহ সমস্ত রাজনৈতিক দল সমস্ত বিধিকে নানা সময় বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনের পর দিন মিটিং মিছিল করছে , সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে ভীড় নিয়ন্ত্রণ ? কি ধরনের সিদ্ধান্ত প্রশ্ন তুলেছেন শিল্পীরা । লকডাউনের জেরে সমস্ত অনুষ্ঠান বিগত কয়েক মাস ধরে বন্ধ । ঘর বন্দী অবস্থাতে রয়েছেন শিল্পীরা । সঙ্গীত শিল্পী , নৃত‍্য শিল্পী , মিউজিশিয়ান রাই শুধুমাত্র নন যারা সাউন্ড সিস্টেম এর কাজ করেন তারাও হতাশ মুখ‍্যমন্ত্রীর এ হেন ঘোষনায় । পুজো হবে অথচ সাংস্কৃতিক কোনো অনুষ্ঠান হবে না এই ঘোষনায় প্রতিবাদ বাড়ছে জেলায় জেলায় । সোশাল সাইটে বহু শিল্পী তাদের ক্ষোভের কথা ব‍্যক্ত করেছেন । সময় যত গড়াচ্ছে তত ক্ষোভ এর পরিধি বাড়ছে । শিল্পীরাই শুধু মাত্র কেন ব্রাত‍্য থাকবে ? পুজোকে কেন্দ্র করে অনেকেই অনুশীলন শুরু করেছিলেন লকডাউনের হতাশা ফেলে । কোনো কোনো পুজো উদ‍্যোক্তাদের সাথে অনুষ্ঠানের বুকিং ও করে ফেলেছিলেন অনেকেই । কম বাজেটের হলেও হাসি ফুটেছিলো অন্তত পুজোর দিন আসছে ভেবেই । নেতাজী ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে মুখ‍্যমন্ত্রীর ঘোষনা যেন বোধনের আগেই বিসর্জন বলছেন শিল্পীরা । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।